ক্ষত
-সীমা চক্রবর্তী
অপলক চোখে গোধূলি বারান্দায় আলগোছে দাঁড়িয়ে
আলসেমিকে দু’পায়ে মাড়িয়ে…
সাঁঝের আলো গাছের পাতায় শুয়ে আড়মোড়া ভাঙে,
ঘরে ফেরার আনন্দ পাখিদের ডানা ছুঁয়ে তিরতির…
আকাশ জুড়ে নানা রঙের ভীড়…
এসব তো আগেও দেখেছি,
তবুও যে আজ মনকে দিচ্ছে নাড়িয়ে…. ।
এক বস্তা যন্ত্রণা বুকের পাথরে ঘঁষা খেয়ে
অন্ধকারে চকমকির মতো জ্বলছে
সে আগুন বড় অসহায়… বড় নিস্পাপ…
বলতে না পারা কথা’রা মরা মাছের মতো চেয়ে…
উষ্ণ ধারার কল্লোলিনী হতে গিয়ে
অদৃশ্য শাসনে জমেছে মেরু ঠোঁটে
হিজিবিজি অক্ষরেরা কাঁপা কাঁপা অস্ফুটে,
বুঝি না… এ কেমন অভিশাপ….!!!
গোধূলির ধূসরতা ক্রমশ আঁধার মাখছে,
অস্পষ্ট আকাশে কী বিবর্ণ বিপন্ন একফালি চাঁদ !!!
হয়তো তার ভাঙা অংশ নিয়ে জানাতে চায় ফরিয়াদ।
জোছনার মৃদু আলোয় তাই করুণ উৎসব
তারই মাঝে জীবন যেন অনাদিকাল নীরব।
আলটপকা স্বপ্ন-আশা’রা কখনো ফিরে ফিরে আসে
আবেগি হতে চেয়ে বিদেহীর মতো ভাসে…।
বিরামহীন ঘড়ির কাঁটায় সময় যাচ্ছে বয়ে
স্তব্ধ আমি রয়ে গেছি আয়না’র বোঝা হয়ে।
ঘুম যেন মৃত্যুর মতো
চাইলেও যায় না পাওয়া যথাযথ…
রাত শেষে দু’চোখে তাই অযাচিত ক্ষত…।